সুনামগঞ্জ , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ , ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সুনামগঞ্জকে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আলোচনায় বিএনপি’র দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষকরা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন : অতিরিক্ত কৃষি সচিব নদী ভাঙন রোধের দাবিতে ভাদেরটেক গ্রামবাসীর মানববন্ধন গ্যাসের পাইপ লাইনে লিকেজ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা জামালগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা অ্যাড. নূরুল ইসলামের গণসংযোগ

মাদকমুক্ত শহরের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ এখনই প্রয়োজন

  • আপলোড সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ১২:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ১২:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
মাদকমুক্ত শহরের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ এখনই প্রয়োজন
সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের ভয়াল ছোবল দিন দিন গ্রাস করছে আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। বিশেষ করে উকিলপাড়ার সুরমা নদী তীরবর্তী ‘বেকারিঘাট’ এলাকা, তেঘরিয়া, আরপিননগর, বড়পাড়া, সুলতানপুর, ষোলঘর, ধোপাখালি, নবীনগরসহ অন্তত এক ডজন এলাকায় মাদক কারবারিদের বিচরণ এবং বিস্তার দেখে আমরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন। সন্ধ্যা নামতেই এইসব এলাকায় বহিরাগত মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়, চলছে প্রকাশ্য ও গোপনভাবে ইয়াবা, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বিকিকিনি। অথচ এলাকাবাসী চিহ্নিত এসব মাদক কারবারিদের উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত হলেও ভয়ের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এখন প্রশ্ন হলো- এতসব তথ্য স্থানীয় মানুষ জানে, সংবাদকর্মীরা জানেন, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানেন না কেন? নিশ্চয়ই জানেন। তাহলে কেন এইসব মাদকচক্র এখনো সক্রিয়? কেন তাদের আড়ালে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়ছে শহরের আনাচে-কানাচে?
আমরা চাই, কোনো অভিযান যেন লোক দেখানো কর্মসূচিতে পরিণত না হয়। সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরও সজাগ ও তৎপর হতে হবে। কারণ একটি সমাজে যখন উঠতি বয়সের তরুণরা মাদকের ছোবলে দিশেহারা হয়ে পড়ে, তখন শুধু পরিবার নয়, গোটা জাতির ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখন আর কেবল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজ নয়, বরং এটি হওয়া উচিত সমাজের সম্মিলিত লড়াই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
অবশ্যই বলতে হবে, এই পরিস্থিতি আর চলতে দেওয়া যায় না। আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হলে এখনই শক্ত হাতে মাদক ব্যবসা বন্ধে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে হবে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে চিহ্নিত মাদক স্পটগুলোতে একযোগে অভিযান চালানো যেতে পারে। একইসাথে প্রয়োজনে সেসব এলাকায় কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার করতে হবে, যাতে তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরোধ সহজ হয়।
মাদক সমাজের বিষফোঁড়া। এই বিষ যদি এখনই উপড়ে ফেলা না যায়, তবে তা গোটা সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। তাই দেরি নয়, মাদকমুক্ত শহর গড়তে এখনই চাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক দৃঢ়তা এবং জনসম্পৃক্ততা উদ্যোগ। সুনামগঞ্জবাসী একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সচেতন শহর চায় - এই আকাঙ্খাকে বাস্তবে রূপ দিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আরও কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক ভূমিকা রাখতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স